পর্ব 6
শুদ্ধ আবার বলতে শুরু করল ” আমি একটা জমি ভাড়া নিয়েছি। সেখানে চাষ করেছি বিশেষ এক প্রকার ধান যেটা আমার বানানো। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই এটার বিষয়ে রিসার্চ করে চলেছি। অবশেষে এই বীজ বপন করতে পেরেছি। আমার যদি রিসার্চ ঠিক হয় তাহলে এই বীজে বাকি বীজের তুলনায় দ্বিগুণ ফলন হবে, চাল সরু। আর চাষিদের মধ্যে এই বীজ বিলিয়ে দিলে তারা অনেক লাভবান হবে। এটা আমার সপ্ন। “
ধারা শুদ্ধের কথাগুলো শোনার পর বলল” কিন্তু আপনার এটা মনে হচ্ছে না যে আপনি সফল না ও হতে পারেন? পরে সফল না হলে আপনার অনেক ক্ষতি হবে।। “
“আমি জানি ধারা। কিন্তু তার থেকেও বেশি বিশ্বাস করি যে আমি পারব। আমার ভবিষ্যত আমার হাতের মুঠোয়।। “
ধারা শুদ্ধের কথায় হাসল। আসলেই তো আমরা মানুষরাই তো পাড়ি সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে।।
“কিন্তু ভয় আমার মধ্যেও বাড়তে শুরু করেছে”
ধারা:- কেন?
শুদ্ধ:- আকাশের অবস্থা দেখেছেন ধারা, কাঠ ফাটা রোদ বৃষ্টির কোন সম্ভবনা নাই। কিন্তু যদি বৃষ্টি না হয় এই সবে জন্মানো চাড়া গাছ গুলি যে মরে যাবে ধারা। আর আমার সকল প্রচেষ্টাও অসফল হয়ে যাবে।
ধারা:- আপনি এতো চিন্তা করবেন না। দেখবেন এক দুই দিন পর ঠিকই বৃষ্টি হবে।
শুদ্ধ:- তাই যেন হয়। আমার তো না হয় চলে যাবে যাইহোক করে কিন্তু সেই সকল চাষিরা যারা নিজেদের সকল অর্থ এতে লাগিয়ে দিয়েছে তাড়া যে শেষ হয়ে যাবে।
শুদ্ধের কথা শুনে ধারার ও চিন্তা হতে শুরু করল। বৃষ্টির দেখা কি আদোও মিলবে?
ধারা মনে মনে পার্থনা শুরু করল আল্লাহ এই মানুষটির এতো চেষ্টা সপ্ন ব্যর্থ হতে দিওনা।।
হবে কি বৃষ্টি নাকি শুদ্ধের সপ্ন সপ্নই থেকে যাবে? ব্যর্থ হয়ে যাবে কি সকল প্রচেষ্টা???
দুই দিন পর আসলেই দেখা মিলল বৃষ্টির। ধারা তো ভীষণ খুশি শুদ্ধের প্রচেষ্টা অসফল হয়নি।
………