শুদ্ধ বলে উঠলো ” শুনেছিলাম পাড়ার কাকিমারা শোনে কম বলে বেশি আজকে দেখেও নিলাম “
বলে আবারও হাসতে শুরু করলো।
ধারা:- আপনি ঠিক কী বলতে চাইছেন?
শুদ্ধ:- হ্যাঁ আমি চাষ করি মানলাম কিন্তু তা বলে আমাকে বয়স্ক চাষা বানিয়ে দেবে ভাবিনি।
ধারা এতক্ষনে কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছে যে কাকিমা গুলো পুরোটা না শুনেই তাকে বাড়িয়ে বলেছে। আসলে আমরা মানুষেরা এমনই পড়ের কষ্টে আনন্দ পাই বেশি এবং তাদের কষ্টে ভাগ নেয়ার বদলে সেটাকে আরও খোঁচাতে ব্যস্ত থাকি।
শুদ্ধ তখন বলে উঠে ‘
“আমি তো শুনেছিলাম আপনার নানা বাড়ির যথেষ্ট ভালো অবস্থা, তারপরও একটা চাষার সঙ্গে তারা আপনার বিয়ে দিতে কি করে রাজি হল?
আপনি বা কি করে একটা বয়স্ক চাষার সঙ্গে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেলেন ?”
“তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো থাকলেও তাদের মানসিক অবস্থা কখনোই ভালো ছিল না। তারা আমাকে তাদের পরিবারের একটি বোঝা ছাড়া কিছুই মনে করত না। বোঝা নামানোর উপায় পেয়ে গিয়েছিল আর কি করে বা আটকানো যেত ,আমার মতামতের তাদের কাছে কোনো দামই নেই।
শুদ্ধ তখন বলল” অন্যের কথায় বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেলেন? আপনার নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোন দাম নেই ?”
ধারা তখন বলল “তাদের উপর কথা বলার মত সাহস পাইনি। তাদের বাড়িতে থাকি অথচ তাদের উপরই বা কথা বলি কিভাবে? “
শুদ্ধ বললো “ভয় পেয়ে বিয়ে যখন করেছেন এই ভয়েই বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেবেন নিশ্চয়ই!মেয়ে মানুষ ভীতু হয় শুনেছি আপনাকে দেখে তার থেকেও বেশি ভীতু বলে মনে হচ্ছে। “
ধরার কেন জানি মনে হল শুদ্ধ তাকে কথাটি খোঁচা দিয়ে বলল।
ধারা মনে মনে বলল জানে সে ভীতু তা বলে তাকে এভাবে খোঁচা মারতে হবে তার সময় আসুক সেও দেখিয়ে দেবে । হুহ।।
সবশেষে শুদ্ধ বললো “অনেক রাত হয়ে গেছে ঘুমিয়ে পড়ুন নতুন জীবন শুরু করেছেন আমি চাই না সে জীবনটা ভয়ের মধ্যে থেকে শুরু হোক ঘুমিয়ে যান । “
ধারার কেন জানি না মানুষটাকে ভীষণ ভালো লাগলো। তার চিন্তা ভাবনাটাও ধরার খুব পছন্দ হলো। সে ঘুমিয়ে গেল.
পরদিন সকালে মিসেস খোদেজা মানে শুদ্ধের মাকে দেখা গেল খাবারের আয়োজন করতে। তিনি তো বেজায় খুশি মনের মত ছেলের বউ পেয়েছেন । ধারাকে একদিন তিনি দেখেছিলেন গ্রামের অনুষ্ঠানে সেখানে ধারাকে তার ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু ধারা নানির বাড়ির অবস্থা ভালো থাকায় তিনি ভাবেননি তার ছেলের সঙ্গে ধারার বিয়েটা হয়ে যাবে। তবে সংকোচের সঙ্গে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি কিন্তু তাকে অবাক করে দিয়ে প্রথমবারেই ধারার মামা ধারাকে বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায় । খোদেজা তো বেজায় খুশি । ধারা ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই তাকে এটা সেটা দেখাচ্ছে। মনের মতো খাবার রান্না করে তার সামনে পরিবেশন করে রেখেছে। খাবার জন্য।
হঠাৎ করেই ধারার নজরে পড়ল বসার ঘরের একটি ফটো ফ্রেম এর ওপর সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি ইউনিভার্সিটির গ্রাজুয়েশন দিনের গ্রুপ ছবি ।যেখানে শুদ্ধ কে একটি কালো কোট এবং মাথায় কালো টুপি পড়ে দেখা যাচ্ছে। ধারা ছবিটা দেখে ভীষণ অবাক হয়। শুদ্ধ ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা করেছে? কিন্তু কই কালকে যে শুদ্ধ বলল সে নাকি চাষ করে ,তাহলে?
3 Responses
I have a question that ,what does he do now?
Golper sathe thaken ans nije thekei peye jaben 🥰
Ok ok bugtachi