পুরুষালি কন্ঠটি বলে ওঠে
“আপনি এখানে দাড়িয়ে কি করছেন? “
কন্ঠ টা পাওয়া মাত্র ধারা পেছনে ঘুরে তাকালো। কিন্তু ধারা দেখলো তার সামনে একটা শ্যাম পুরুষ দাড়িয়ে আছে। বয়স হবে হয়তো 26 কিংবা 27,শ্যাম বর্ণের অধিকারী অসাধারণ সাস্থ্যের অধিকারী একটি পুরুষ অবয়ব। যার মুখমন্ডলে ছিল অদ্ভুত এক উজ্জ্বলতা। ধারার তাকে দেখে মনে হল এ যেন কোনো কল্প পুরুষ যে একমাত্র তার কল্পনায় স্থির।
হঠাৎ করেই ধারার মনে হল ‘ তার তো বিয়ে হয়েছিল একজন বয়স্ক পুরুষের সাথে, তাহলে এই শ্যামপরুষ তার ঘরে কী করছে? ‘
ধারার হঠাৎ করেই ভয় হতে শুরু করল।
ধারাকে এরকম আচরণ করতে দেখে পুরুষ অবয়বটি বলে উঠলো ” আপনি এরকম অস্থির আচরণ কেন করছেন কোন সমস্যা হচ্ছে কি আপনার? “
ধারা অস্থির এবং ভয়ার্ত কন্ঠে জিজ্ঞাসা করল “কে আপনি? “
পুরুষটি মনে হয় অবাক হল ।
সে বলল” এই মুহূর্তে এই ঘরে যার থাকার কথা সে, সোজা কথায় বলতে গেলে আপনার স্বামী শুদ্ধ মাহমুদ। “
ধারা নিজের অবাকতার রেশ না কাটিয়ে বলে উঠলো “কিন্তু আমার বিয়ে তো একজন বয়স্ক লোকের সাথে হয়েছিল”
শুদ্ধ:- আপনার এটা কেন মনে হল?
ধারা:- আমাকে যখন পাড়ার কাকিমারা সাজাচ্ছিল তখন তারা বলেছিল আমার বিয়ে হচ্ছে একজন বয়স্ক চাষার সাথে।
কথাটা শুনে শুদ্ধ জোরে হেসে উঠল।
ধারা অবাক হয়ে শুদ্ধের হাসির দিকে তাকিয়ে রইল। ধারার মনে পরছে না এর আগে এতটা সুন্দর হাসি সে কখনো দেখেছে বলে।
আচ্ছা পুরুষ মানুষের হাসিও বুঝি এতো সুন্দর হয়? তাহলে কবিরা সব সময় মেয়েদের হাসির প্রসংসা কেন করে?
কই কখনো তো ছেলেদের হাসি নিয়ে কোন ছন্দ শুনলাম না।
ধারার ভাবনার মাঝেই শুদ্ধ বলে উঠলো…………
Part – comming soon …
One Response
Next part