এক নারীর গল্প

এক নারীর গল্প

Written By Asmina Khatun

এক নারীর গল্প

সব মানুষ জন্ম নেয় মায়ের গর্ভ থেকে।তা বলে যে বাবার কৃতিত্ব নেই তা নয়,এখানে বাবার ভূমিকা সব থেকে বেশি। কিন্তু মা গর্ভে ১০মাস ,১০দিন ধারণ করে।তাই এক মা সবার থেকে বেশি বোঝে ছেলেমেয়েদের কষ্ট, ছেলে মেয়েরা কি চায় শুধু এক মাত্র সেই মা বোঝে। মায়ের গর্ভ থেকে সেই বাচ্চা বেরোলো তারপর সে ধীরে ধীরে বড় হল মায়ের আদর – যত্ন ,স্নেহ, মায়া- মমতা, ভালবাসা পেয়ে।

এইভাবে পেরোলো বাচ্চার আঠারো বছর বয়স ,তারপর সেই ছেলে বা মেয়ে হয়ে উঠল সাবলম্বী। সে নিজের ভালো নিজেই বুঝতে শিখলো। দুনিয়াতে কোনটা ভুল কোনটা ঠিক সেটাও বুঝতে শিখল। এই আঠারো বছরের পর থেকে মা-বাবার কিছুটা হলেও দায়িত্ত কমলো কিন্তু যে তারা একেবারে নিশ্চিন্ত হয়ে গেল তা না শুধু সেই মেয়ে বা ছেলেকে নিজের মতোন করে ছেড়ে দিল যাতে করে তারা ভবিষ্যতে মা-বাবার অবর্তমানে নিজেরা যেন একাই পথ চলতে পারে, সব প্রতিকূলতা, বাধা বিপত্তি পার করতে পেরে সবকিছু যেন জয় করতে পারে।এই ভাবে পেরোলো ১৮ বছর।

তারপর যদি ছেলে হয় সে তাহলে তাকে কাজের জন্য বাইরে যেতে হয় বাবা-মাকে ছেড়ে। আর যদি মেয়ে হয় তাহলে তার জন্য পাত্র দেখা শুরু হয়। তারপর যদি মেয়ের পরিবার থেকে পাত্র পছন্দ হয় তাহলে তার পরিবার থেকে সেই মেয়েটার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। সেই মেয়েকে জিজ্ঞাসা করা হয় না যে তার এই বিয়েতে মতামত আছে কি নেই। কিন্তু একটা ছেলে তার পছন্দ মতই মেয়ে পাই ,হয়তো মেয়েটার ছেলেটা পছন্দ না।


এবার আসি একটা ছেলের গল্প নিয়ে একটা ছেলে 18 বছরের পর স্বাবলম্বী হয়ে উঠলো তারপর সে তার decision নিজেই নিল, সে ঠিক করল যে সে পড়বে কি না হইতেছে ডিসাইড করলো যে সে কাজে চলে যাবে কারণ তার পরিবারে মা-বাবা অসুস্থ হয়ে পড়লে ইনকাম করে খাওয়ানোর মতন কেউ থাকবে না তাই সেই ছেলেটা তার সবকিছুকে sacrifice করে বেরিয়ে পড়ল কাজের উদ্দেশ্যে। সেই ছেলেটা income করে মা বাবার হাতে তুলে দিল তার প্রথম স্যালারি সেই স্যালারি পেয়ে তার বাবা মা খুবই খুশি হলেন তারপ বাবা-মা যখন দেখলো যে না ছেলে আমাদের বড় হয়েছে বা তার বিয়ে দিলে সে তার স্ত্রীকে তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে পারবে তখন তার বিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি হলো। তারপর সেই ছেলেটার বিয়ে দিয়ে দিলো তার বাবা-মা বাড়িতে আসলো এক সুন্দরী শিক্ষিতা এক নতুন বধূ এইভাবে তাদের দিন ভালোই কাটছিল এক সুন্দর পরিবার নিয়ে। তাদের পরিবারে আসলো এক নতুন ফুটফুটে ছোট্ট সদস্য তাদের পরিবার আলো করে।

সেই ছোট্ট ফুটফুটে সদস্য টি হল একটি মেয়ে, কিন্তু সেই ছোট্ট শিশু মেয়েটির দাদু ঠাকুমার পছন্দ ছিল না তাকে। কারণ সে একটা মেয়ে, ছেলেটির বাবা-মা ও চেয়েছিল যে তাদের বংশধর যেন তাদের পুত্র সন্তান হয় কিন্তু হয়ে গেল কন্যা সন্তান। সেই কন্যা সন্তানকে মেরে ফেলার বা কাউকে দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছিল। তখন সেই ছোট্ট কন্যাটির মা তাদের কথা শুনেই সেই ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে অনেক দূরে চলে গেল সবার থেকে।সেই অভাগী মা অনেক কষ্ট করে ছোট্ট শিশু মেয়েটিকে বড়ো করল।সেই ছোট্ট কন্যা সন্তানটি হয়ে উঠল ডাক্তার।

হঠাৎ করে সেই কন্যা সন্তানদের ঠাকুমা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপর সে হসপিটালে যখন ভর্তি হয় তখন এক মহিলা ডাক্তার তাকে মরনের হাত থেকে। তখন সেই বৃদ্ধ মহিলা সেই মহিলা ডাক্তার কে আশীর্বাদ করে বললেন যে তুমি অনেক বড় হও মা আর তুমি যে মায়ের সন্তান সে খুব ভাগ্যবতী। তখন সেই মহিলা ডাক্তার বললেন যে আমি আপনারই বৌমার মেয়ে যেই কন্যা সন্তানকে আপনারা মেরে ফেলার বা কাউকে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
এর থেকে আমরা শিখতে পারি যে মেয়ে বলে অবহেলা করবেন না হয়তো আপনিও এক মায়ের মেয়ে আপনিও কন্যা সন্তান। মেয়েরা ভগবান আল্লাহর দান।

8 Responses

  1. আপনার লেখার প্রতি আলাদায় একটা আকর্ষণ তৈরী হল…আরও লেখা পড়ার সুযোগ পাব সেই আশাই রইলাম….🤍

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share: