কলকাতার বিশেষ খাবার: রসগোল্লা থেকে বিরিয়ানি পর্যন্ত সেরা পদগুলি

কলকাতার বিশেষ খাবার: রসগোল্লা থেকে বিরিয়ানি পর্যন্ত সেরা পদগুলি

Written By Anushree Dasgupta

কলকাতা, বাংলার রাজধানী, শুধু ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, এবং শিল্পকলার জন্য নয়, তার বিশেষ খাবারের জন্যও বিখ্যাত। এখানে খাদ্যপ্রেমীরা তাদের রসনা তৃপ্ত করার জন্য বিভিন্ন স্বাদের এক অসাধারণ জগতে প্রবেশ করেন। কলকাতার রাস্তায় হাঁটলেই পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবার যা শহরটির সংস্কৃতির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এই ব্লগে আমরা কলকাতার কয়েকটি বিশেষ খাবার নিয়ে আলোচনা করব যা শহরের একান্ত নিজস্ব।

১. রসগোল্লা:

কলকাতার সবচেয়ে পরিচিত মিষ্টির নাম শুনলেই রসগোল্লা মাথায় আসে। ছানা দিয়ে তৈরি এই মিষ্টি বাংলার মানুষের প্রিয়। সাদা, নরম ও রসালো রসগোল্লা প্রথম তৈরি করেছিলেন নবীনচন্দ্র দাস, আর সেই থেকেই এটি বাঙালির আবেগের অংশ হয়ে উঠেছে। যে কোনো উৎসব বা অনুষ্ঠানে রসগোল্লা ছাড়া আনন্দ অসম্পূর্ণ।

২. মিষ্টি দই:

কলকাতার মিষ্টি দইও খুব জনপ্রিয়। এটি মিষ্টি ও টক স্বাদের সংমিশ্রণে তৈরি হয়। সকালে কিংবা দুপুরে খাবারের পরে এক বাটি মিষ্টি দই খাওয়া বাঙালির পুরনো অভ্যাস। ঠান্ডা ও মোলায়েম এই দই বিশেষ করে পছন্দ করা হয় গরমের দিনে।

DrBooking to book online doctor.

Dr Booking

৩. কাঁচা ঘুগনি:

কাঁচা ঘুগনি হল কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় রাস্তার খাবার। মটরশুঁটি, আলু, ও বিভিন্ন ধরনের মশলা দিয়ে তৈরি এই খাবারটি মুখরোচক ও পুষ্টিকর। ঘুগনি সাধারণত সান্ধ্যকালীন জলখাবার হিসাবে খাওয়া হয়, আর এর সাথে দেওয়া হয় কাঁচা পেঁয়াজ ও কাঁচালঙ্কার টক-মিষ্টি স্বাদ।

৪. টেলিভাজা:

কলকাতার রাস্তার ধারের দোকানগুলিতে টেলিভাজার গুরুত্ব অপরিসীম। সিঙ্গারা, কচুরি, আলুর চপ, বেগুনি, আর পেঁয়াজি হল কিছু জনপ্রিয় টেলিভাজা। বৃষ্টির দিনে বা শীতের সকালে গরম গরম টেলিভাজা আর সাথে এক কাপ চা বাঙালির হৃদয় জয় করে।

৫. চিংড়ি মালাইকারি:

চিংড়ি দিয়ে তৈরি মালাইকারি বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী পদ। নারকেল দুধের মালাই মাখানো গ্রেভির সাথে রান্না করা হয় বড় চিংড়ি মাছ। এই খাবারটি সাধারণত বিভিন্ন উৎসব ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয় এবং চিংড়ি প্রেমীদের জন্য এটি এক আলাদা অনুভূতি।

৬. বিরিয়ানি:

কলকাতার বিরিয়ানি বাঙালির মন জয় করেছে নিজের স্বতন্ত্র স্বাদের জন্য। মূলত মোগলাই প্রভাব থেকে আসা এই পদটি মসলাযুক্ত চাল ও মাংসের সমন্বয়ে তৈরি হয়। কলকাতার বিরিয়ানিতে আলুর বিশেষ গুরুত্ব আছে, যা অন্য বিরিয়ানি থেকে এটি আলাদা করে।

৭. ফুচকা:

কলকাতার ফুচকা একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। টক-মিষ্টি তেঁতুলের জল, সেদ্ধ আলু, মটরশুঁটি, আর মশলা মিশিয়ে তৈরি হয় এই মুখরোচক খাদ্য। বন্ধুদের সাথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়া যেন এক আলাদা আনন্দ দেয়।

৮. কাতলা মাছের ঝোল:

বাঙালি মানেই মাছপ্রেমী, আর কলকাতায় কাতলা মাছের ঝোল অতি জনপ্রিয়। কাতলা মাছের টক-মিষ্টি ঝোল একদিকে যেমন হালকা, অন্যদিকে তেমনই সুস্বাদু। ভাতের সাথে পরিবেশন করা এই খাবারটি প্রতিদিনের দুপুরের খাবারের অন্যতম প্রিয় পদ।

Dr Booking

DrBooking to book online doctor.

কোলকাতায় কোথায় কি ফেমাস খাবার পাওয়া যাই তার লিস্ট

  1. দমদম: হাজির মাটন বিরিয়ানি, মালাই কাবাব।
  2. আগমনী: লাল ক্ষীর, দই, সরসেয় ভাজা।
  3. গড়িয়া: লাল আটার ফুচকা, চুরমুর, মোমো।
  4. বিরাটি: ভোরের রসগোল্লা।
  5. সিকিম হাউস: মোমো, পর্ক শাপটা।
  6. কালিঘাট: আপনজনের ফিশ চপ, ফিস ওরলি, মাটনের পুর ভরা, কিমা মোগলাই।
  7. ফ্রেন্ডস: চিজ ওনিয়ন ধোসা।
  8. মাদ্রাস টিফিন: ধোসা।
  9. ওলি পাব: বিফ স্টিক।
  10. গড়িয়াহাট: ক্যাম্পারির চিকেন কাটলেট, দাস কেবিনের মোগলাই।
  11. হাজরা: ক্যাফের পুডিং, চিকেন স্টু, কাটলেট, ফিশ ফ্রাই।
  12. করিমস: বিরিয়ানি, তন্দুরি পদ।
  13. টেরিটিবাজার: চ্যাটওয়ালা গলির চাইনিজ, তুং নাম।
  14. নন্দলাল: কচুরি, ছোলার ডাল।
  15. বোহেমিয়ান: ফিউশন ফুড – গন্ধরাজ জোলেপ, চিলি পিকল্ চীজ বেকড্ ক্র্যাব সঙ্গে কলমী গ্রীনস।
  16. স্পাইসক্রাফ্ট: ফিউশন ফুড – দাজাজ চারমৌলা, বীয়ার ক্যান টেম্পুরা ফিশ, জ্যাক ড্যানিয়েলস্ মৌশে।
  17. কাবুল কলকাতা: মটন রোশ, চিকেন সিজি।
  18. মোকাম্বো: বেকড্ ক্র্যাব, মিক্সড গ্রীলড্ প্লাটার।
  19. খিদিরপুর: ফ্যান্সির পাশে ঠেলাগাড়ির বিফ হালিম।
  20. নিউ মার্কেট: টিপু সুলতান মসজিদের পাশে ফালুদা।
  21. ডেকার্স লেন: আম্রুতের লস্যি।
  22. জাকারিয়া স্ট্রিট: সুফিয়ার নিহারি, হালিম; দিল্লি সিক্সের পেয়ারে কাবাব, শিরমল, আফগানি কাবাব; হাজি লিয়াকতের মুসকত হালুয়া; হাজি আলাউদ্দিনের হালুয়া ও গুলাব জামুন; দিলশাদের বিফ মালাই কাবাব; আডামস্ এর সুতলি কাবাব; বোম্বে হোটেলের বিফ চাপ।
  23. মানজিলত ফতিমা: আওধি কুইজিন।
  24. নিউ মার্কেট: রালিসের কুলফি।
  25. শ্যামবাজার: মেট্রো গেটের লস্যি, রুপার মটন কষা, তৃপ্তির মোমো, ট্রাম ডিপোর পাশে ঘুগনি চাট।
  26. আহিরিটোলা: ভূতনাথ লিট্টি, সাধুর চা।
  27. সিটি সেন্টার: চৌরাসিয়া – পাওভাজি ও চাট।
  28. হাজরা ক্যাফে: পুডিং।
  29. যতিনদাস পার্ক মেট্রো: পণ্ডিত স্যান্ডউইচ।
  30. নিউ মার্কেট: ইন্দ্রমহলের কুলফি।
  31. বারুইপুর: “আসমা হোটেল” এর চিকেন চাঁপ ও লাচ্ছা পরোটা।
  32. শিয়ালদা: শিশির মার্কেটের কাছে “কল্পতরু”র লস্যি।
  33. রাজপুর: মঙ্গল দার দোকানের কচুরি।
  34. গড়িয়া: “জিতেন মাহাতো”র চিকেন মোমো।
  35. সোনারপুর: বৈকুণ্ঠপুর মোড়ের লুচির সাইজের ফুচকা।
  36. গড়িয়া: “আমিনিয়া”র চিকেন চট-পটা।
  37. সোনারপুর: স্টেশন লাগোয়া “সুবোল সাহা”র লস্যি।
  38. হোন্ডো: বিফ বার্গার।
  39. কলেজস্ট্রিট: কল্পতরুর পান, স্বাধীন ভারতের মাংস ভাত।
  40. শ্যামবাজার: গোলবাড়ীর কষা মাংস ও পরোটা, অনাদি কেবিনের মোগলাই পরোটা।
  41. গুপ্তা সুইটস: ক্যাডবেরি সন্দেশ।
  42. কস্তূরি: কচু পাতা বাটা চিংড়ি।
  43. সল্টলেক: চার্নক সিটির ডাব চিংড়ি।
  44. ভজহরি মান্না: নলেন গুড় আইসক্রিম।
  45. সিদ্ধেশ্বরী আশ্রম: বাঙালি খাদ্যসামগ্রী।
  46. বউবাজার: ভিমনাগের সন্দেশ।
  47. স্কুপ: ড্রাইফ্রুট আইসক্রিম।
  48. এসপ্লানেড: কেসি দাসের রসগোল্লা।
  49. আওধ: বিরিয়ানি।
  50. বাগবাজার: নবীন দাশের রসগোল্লা।
  51. শ্যামবাজার: চিত্তরঞ্জনের রসগোল্লা ও মধুপর্ক।
  52. ফড়িয়াপুকুর: অমৃতের দই।
  53. বাগবাজার: পটলা দোকানের তেলেভাজা ও কচুরি।
  54. নিউ মার্কেট: নাহুম্সের বেকারী।
  55. কলেজস্ট্রিট: পুটিরামের কচুরি।
  56. প্যারামাউন্ট: সরবত।
  57. কপিলা আশ্রম: সরবত।
  58. রয়াল: মটন চাঁপ।
  59. সিরাজ: বিরিয়ানি।
  60. সাবির: রেজালা।
  61. স্যাঙ্গিভ্যালি রেস্তরাঁ: চপ, কাটলেট।
  62. সিমলা নকুড়: সন্দেশ।
  63. ফড়িয়াপুকুর: সেন মহাশয়ের বাবু সন্দেশ।
  64. পার্ক সার্কাস: রয়াল – মাটন বিরিয়ানি, চিকেন ও মাটন চাঁপ।
  65. বাঙালি বুফে: ৬ বালিগঞ্জ প্লেস।
  66. কলেজ স্ট্রীট: প্যারামাউন্ট – ডাব সরবত।
  67. কালিকা: বিভিন্ন রকম চপ।
  68. মিষ্টি: বলরাম মল্লিক, নকুড়, পুটিরাম, ভিম নাগ, গাঙ্গুরাম।
  69. দ্যা ভোজ কোম্পানি: অবশ্যই নতুন ব্রাঞ্চটা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share: