স্কুল জীবনের অমূল্য স্মৃতি | School Life is the best life

স্কুল জীবনের অমূল্য স্মৃতি | School Life is the best life

Written By Sana Chowdhury

কৈশোর মানব জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সময় কাল। বিশেষজ্ঞ সহ নানা মনোবিদের মতে একে “ঝড়ঝঞ্জার কাল” ও বলা হয়।

    হারিয়ে যাওয়া দিনগুলি,
    কি আসবে ফিরে কাছে?
    স্মৃতিগুলো মনের দরজার
    কড়া নাড়ে মাঝে মাঝে!!

16 থেকে 22 বছরের সময়কালটা সত্যি অনেক কঠিন। নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অব্যাহত করোনার জেরে গোটা দুনিয়া মজেছিল অনলাইনে।এমনকি পড়ুয়াদের পঠন-পাঠন ও চালু হয়েছিল অনলাইন এর মাধ্যমে। সে অভ্যাসেই আজও নিমজ্জিত পড়ুয়ারা। পঠন-পাঠন স্বাভাবিকক্রমে চালু হলেও মোবাইল এর আসক্তি বর্জন করতে পারেনি ছেলে মেয়েরা। এদিকে ছেলে মেয়েদের ভালো থাকার পাসওয়ার্ডগুলো হারিয়ে যাচ্ছে দ্রুত। যেমন- খেলার মাঠ,ছেলেবেলার হাসি,মজা,ঠাট্টা ইত্যাদি। আসক্তি কাটাতে বাবা-মার জোরাজুরির ফল ও হচ্ছে মারাত্মক। এই আচরণকে “উইথড্রয়াল সিনড্রোম” এর সাথে তুলনা করা হয়েছে।

এই সময়কালে 12 বছরের স্কুল জীবনের সিঁড়িও শেষ হয় ছেলে মেয়েদের। করোনার আবহে জীবনের প্রথম পর্ষদ নির্দেশিত পরীক্ষা মাধ্যমিক না দিয়েই জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা পর্ষদ নির্দেশিত উচ্চমাধ্যমিক দিতে বাধ্য হয়েছে তারা। নানান কটাক্ষ এর সম্মুখীন হতে হয়েছে ছেলে মেয়েদের। কারণ তারা নাকি মাধ্যমিক না দিয়েই নম্বরের চূড়ায় স্থান পেয়েছে। এই কটাক্ষকে গায়ে মেখেই 6 মাসের পঠন-পাঠনে 11 এর পরীক্ষা এবং 7 মাসের পঠন-পাঠনে উচ্চ মাধ্যমিকে মনোনিবেশ করতে হয়েছে তাদের। এরই সঙ্গে করোনার প্রকোপে স্কুল জীবনকে বিদায়জ্ঞাপন করে কঠোর লক্ষ্যপূরণের প্রতিযোগিতাকে আমন্ত্রণ জানাতে হয়েছে তাদের।

এই সময়কালেই হারাতে হয় তাদের অনেক কাছের ও প্রিয় বন্ধুবান্ধবদের। যা তাদের মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়। সম্মুখীন করতে হয় অনেক প্রিয় মানুষের সৃষ্ট বিশ্বাসঘাতকতার। এভাবেই ধীরে ধীরে মানুষ চেনার পর্যায়ে তারা অগ্রসর হয়। কারণ মানুষ এর দেওয়া আঘাতই কাউকে সঠিক মানুষ চিনতে সাহায্য করে।

ছোটবেলার আবেগী হৃদয় কোনো স্বার্থ ছাড়াই মনের দরজা খুলে সব বন্ধুকে আপন করে নিয়েছিল তাই তাদের হারিয়ে একাকীত্ব এর বেড়াজালে জড়িয়ে যেতে হয় তাদের। স্কুল জীবনের নানা ঘটনা যেমন- ক্লাস চলাকালীন গল্প করা,টিফিন ভাগ করে খাওয়া,স্কুল এর মাঠে খেলা করা,কোনো কিছু বুঝতে না পারলে বন্ধুদের সাথে আলোচনা করা,বেঞ্চে কার পাশে কোথায় বসবে সেই নিয়ে ঝামেলা করা সবই আস্তে আস্তে অতীতের স্মৃতিতে সঞ্চিত হয়।

বন্ধুদের সাথে দেখা করার আশা কি তবে শেষ হইলো??

এই বয়সেই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রতিযোগিতায় নামতে হয়। বাবা-মার ইচ্ছাপূরণ,নিজের লক্ষ্যপূরণ সব মিলিয়ে মিশিয়ে ব্যস্ততার বশীভূত হয়ে ছোটবেলা অস্পষ্ট হয়ে ওঠে। এভাবেই অস্পষ্ট হতে থাকে ছোটবেলা স্পষ্ট হয়ে ওঠে জীবনযাত্রার লড়াই। ।

এত কিছুর পরও এই বছরগুলো জীবনের সবচেয়ে ভালো সময়…কারণ এই সময়ে আমরা অনেক কিছু শিখি,অনেক কিছু হারায়…আসলে জীবনের আসল মানেটা এই সময়েই বোঝা যায়…

23 Responses

  1. অসম্পূর্ণ হৃদয়ের মতো বোধহয় স্কুল জীবনের শেষটাও অসম্পূর্ণ রইলো।
    কত ভালো হতো যদি এত বন্ধু না থাকত
    স্কুলে যাওয়ার কথা সত্যি খুব মনে পড়ছে
    মনে হচ্ছে তোদের ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ।
    কাউকে যদি নাই বা ভালবাসতাম হৃদয় থেকে
    পেতে হতনা একতীত্বের যন্ত্রনা।
    চাইনা আমি তোদের হারিয়ে একলা হতে।🙃

    সত্যি খুবই miss করছি…দারুণ হয়েছে…❤

  2. হয় তো আর কারোর সাথে তেমন দেখা হবে না। তবে এই দিন গুলো জীবনে একটা বড়ো chapter যেটা ভুলতে চাইলেও ভোলা যাবে না। সবথেকে ভালো হতো এই দিন গুলো চিরস্থায়ী হলে

  3. কোনো একজন আমাকে বলেছিল HS হোক তারপর দেখবি কোনো বন্ধু আর কাছে থাকবেনা সবাই দূরে চলে যাবে তখন আমি বলেছিলাম না না এটা কীকরে হয় আমরা সবাই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ইত্যাদির মাধ্যমে। কিন্তু এখন উপলব্ধি পারছি আমরা যতই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ রাখি আগের জীবনটা আর ফিরে পাবনা। যে বলেছিল ঠিকই বলেছিল। তবে আমাদের বানানো স্মৃতি গুলো কিন্তু আমার এবং সবার সাথেই সারাজীবন রয়ে যাবে। আমার তো খুব মজা হয় এই স্মৃতি গুলোকে মনে পরলে। এইভাবে আমাদের স্মৃতি গুলোকে মনে করে আকড়ে ধরেই নাহয় বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেবো 🤗

    1. হ্যাঁ, স্মৃতি গুলোই না হয় রয়ে যাক আমাদের সাথে ❤️

  4. Bah darun .. School life is the best life ..
    R aapnar lekhate seigulo khub valo vabe fute utheche ..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share: