সময়ের সাগরে অবিচ্ছেদ্য প্রবাহে তীর পানির মতো বিশাল ছিল সরোদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টিশীল বিশ্ব। একজন লেখক, একজন সাহিত্যিক, একজন মানুষ। তার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে, আমরা এখানে তার জীবনের এই অদৃশ্য পথে একটি প্রতিকী রচনা করতে চাই।
সরোদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, একজন যে কখনও নির্ধারিত না হয়ে যাওয়া সাহিত্যিক। তার সৃষ্টি একটি পর্যায়ের উপরে নির্ভর করে না, বরং সমসাময়িক সমাজের মাঝে একটি অটুট সংযোগ গড়ে তুলেছেন। তার রচনাগুলি নিখুঁত রূপান্তর করে আনে, মানুষের মাঝে নতুন উদ্ভাবন ও বিচারের জাগরুকতা সৃষ্টি করে।
সরোদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঙ্গালি সাহিত্যের এক মহান ঐতিহাসিক অধ্যাপক। তার লেখা উপন্যাস, গল্প, ছবি, নাটক ইত্যাদি একটি সাহিত্যিক জীবন যা অনেকের হৃদয়ে আবার আবেগ উত্পন্ন করে। তাঁর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে, আমরা তার জীবন ও কর্ম উপর একটি নজর ধরে নেই যা সাহিত্যের জগতকে আরও অগ্রাধিকার দেয়।
সরোদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম:
সরোদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম একটি সাহিত্যিক পরিবারে। তিনি ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৩ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা, তারকেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, ছিলেন একজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব, যিনি সাহিত্যিক কাজে অবদান রাখেন। এই পরিবারের শিক্ষার্থী হিসেবে, সরোদিন্দু প্রারম্ভিক শিক্ষা পেয়েন শিক্ষা নিয়েছিলেন কলকাতার মিত্রসাধনা স্কুল এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
তাঁর প্রথম উপন্যাস “মর্মম্মিত্র” ছিল একটি সাফল্য। তারপরে তিনি তার প্রধান চরিত্র “প্রধানমন্ত্রীর চরণকামল” নামক কাল্পনিক রচনায় ব্যবহার করে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় চরিত্র বাস্তব করেন। এটি দিয়ে তিনি প্রচলিত ধারাবাহিক স্বামী-পত্নী সংবাদ নাটকের লেখক হিসেবে সুনাম লাভ করেন।
সরোদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃজনশীল জীবনে একটি অপূর্ণ অংশ ছিল তার বিজ্ঞানিক আদর্শ। তিনি অনেকগুলি বিজ্ঞানের কৌশল নিয়ে কাজ করেন এবং তার লেখা “তীর অজ্ঞাত”, “কাশ্মীরের হাঁড়ি” ইত্যাদি ছবি গল্পে বিজ্ঞানের বিষয়বস্তু প্রধান করেন।
সরোদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বোমকেশ বক্সির গল্পগুলি এক অনন্য চরিত্রের মাধ্যমে বাঙালি সাহিত্যের জগতে একটি অদম্য স্থান ধারণ করে। বোমকেশ বক্সি হলেন একজন উত্তরবঙ্গের খোঁজাখুঁজির জনাক, যিনি নিজেকে একজন বৃহত্তর স্বনামের অভিনেতা হিসেবে পরিচিত করেন। তার অনেক গল্প একটি নকলগুলোর গঠনের জন্য জানা হয়, যা সাধারণত অত্যন্ত সাহসী, তারকা এবং তাড়াতাড়ি সমাধান পেতে।
সময়ের সাথে পালিত সংক্ষেপে, “বোমকেশ বক্সির সেস্ত্র” নামক গল্পটি একটি মূল বাংলা সাহিত্যের অনুসন্ধানের গল্প। এটি তার অনুসন্ধানের সর্বশেষ অংশ, যেখানে বোমকেশ একটি অত্যন্ত সংক্ষেপের মধ্যে মুখোমুখি হয়ে থাকেন তার প্রতিযোগী এবং সমাধান করেন একটি জটিল মামলা। এই গল্পে, বোমকেশের অনুসন্ধানে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে, যা তার সাহায্যের জন্য প্রয়োজন হয়। বোমকেশের বোকা ধারাবাহিক বিচারে, এই অনুসন্ধান তার জন্য একটি আজকের মুমুর্ষু সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা উপহার করে, সহজে না বা অন্যভাবে প্রাপ্ত হয়।
গল্পের সঙ্গে সাথে, বোমকেশের চরিত্রের মধ্যে দেখা যায় তার সাহিত্যিক আসল মহিলা, মৃত্যুদণ্ড, এবং অভিযোগের তারকা মিস্টার এর সাথে বিস্তৃত সম্পর্ক। এই গল্পে, বোমকেশ আরও একবার তার জীবনের একটি নতুন প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং তার সাহিত্যিক চরিত্রের নতুন মান উদ্ধার করতে পারে।
সরোদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন একটি রহস্যময় গল্প। তিনি ১৯৯৯ সালে আমাদের পক্ষ থেকে বিদায় নেন, কিন্তু তাঁর লেখা কথা, তাঁর উপন্যাস ও গল্প, তার মধ্যে অমর স্মৃতি হিসাবে জাগে আমাদের মধ্যে। তাঁর শৃঙ্খলা, বিস্ময়কর ধারাবাহিকতা, সৃষ্টিশীল চেতনা, সব একসময়ে আমাদের মনে থাকে এবং আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতে এক আলো হিসেবে উজ্জ্বল করে।
তার রচনাগুলি সমাজের বিভিন্ন মুদ্রা উপস্থাপন করে। তিনি মানুষের মনের গহন পাতায় হাত দেয়ে তারা নিজেদের আত্মবিশ্বাস পেতে সাহায্য করেন। তার লেখা ‘ফেলুদা’ গল্পগুলি সাধারণ মানুষের মধ্যে সাহস এবং বিচারের মানসিকতা উন্মুক্ত করে। তার গল্পের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই সমাজের বিভিন্ন প্রশ্নের প্রতিক্রিয়া, সমাজের সাধারণ মানুষের সাহস ও ধৈর্যের প্রশংসা।
তার রচনাগুলি ছবিতে জীবনের নীলিমায় রুপান্তর করে। তার ছবির মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই পূর্ণিমার রাতের মধ্যে মিশুর ধারায় কান্নার কথা, এক গোলাপের পানিতে নীল আকাশের ছবি, অগাধ সমুদ্রের গল্প। তার শব্দের সাহসিকতা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক অবস্থা উত্তেজিত করে এবং আমাদের মধ্যে এক নতুন আশা উত্পন্ন করে।
সরোদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় একজন অদম্য স্বভাবের মানুষ ছিলেন, একজন যে সামান্য পথে নিজের অসীম মহাবিশ্বের কথা বলতে শিখেছিলেন। তার বাণীগুলি এখনো আমাদের হৃদয়ে বাঁধা। তার প্রতি জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা তাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই এবং তার স্মৃতি সদা জীবনে বিজিত থাকুক। জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাকে এই মূল্যবান প্রতিকী সমর্পন করা হলো।
সরোদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় কে জন্মশতবার্ষিকীর শুভেচ্ছা ও উপলক্ষে আমরা এই ক্ষুদ্র অমর প্রতিকী প্রস্তুত করলাম, যা তাঁর অপার যাত্রার একটি অংশ স্মরণ করবে। তাঁর সাহিত্যিক প্রবন্ধ, উপন্যাস, গল্পের মাধ্যমে তিনি আমাদের মধ্যে এক নতুন আলো উজ্জ্বল করেছেন এবং তার বিশ্বাসে আমরা সবসময় আলোচিত থাকব। জন্মশতবার্ষিকীতে তাকে আমাদের অমর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হলো।