“মা ! আমি বেরোলাম…….”
মা: খেয়ে যাবি তো???
“না সময় নেই। দেরি হয়ে যাবে স্কুল যেতে! আসলাম …..”
মা :উফ এই মেয়েটাও না ……কি এমন তাড়া থাকে ওর, কে জানে!
আচ্ছা !সাবধানে যাবি…..
“আচ্ছা….”বলেই সাইকেলটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম স্কুলের উদ্দেশ্যে ।
চলুন রাস্তায় যেতে যেতে পরিচয় পর্বটা সেরে নেওয়া যাক।
আমি তানিয়া । ক্লাস সেভেনের ছাত্রী।
আর এত তাড়াহুড়ো করার কারণ হলো ……………….
সেটা স্কুলে পৌঁছালেই জেনে যাবেন।
এখন আর কথা বলতে পারবো না। দেরি হয়ে যাচ্ছে!
বাই …….
সাইকেলটা আরেকটু জোরে চালিয়ে স্কুলে এসে পৌছালাম ।
সাইকেল থেকে নেমে হাত ঘড়িটার দিকে তাকালাম।
দশটা চল্লিশ বাজছে ….
সর্বনাশ !
পাঁচ মিনিট দেরি করে ফেলেছি !
এবার আমি কি করব?
নাহ্!আর দেরি করা যাবে না।
সাইকেলটা সঠিক জায়গায় রেখে নিজের ক্লাসরুমের দিকে যাওয়া শুরু করলাম ।
নিজের ক্লাস রুমের দিকে যাবার সময় রাস্তায় একটি পরিচিত ক্লাসরুমের সামনে একটি অতি পরিচিত পুরুষ অবয়ব লক্ষ্য করলাম ।
সাথে সাথে বুঝতে পারলাম আমার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।
যেই ভায়ে এত তাড়াতাড়ি করলাম সেটাই হলো ।
ভালো লাগে না আর! আর ৫ মিনিট আগে আসতে পারলে আমাকে পরিস্থিতিতে পরতে হতো না।
সে যদি আমার জেট প্লেনের মতো স্পিডে যাওয়া হৃদস্পন্দনের আওয়াজ শুনতে পেয়ে যায় ??তখন!
নাহ্! হৃদস্পন্দনের আওয়াজ তো আবার দূর থেকে কেউ শুনতে পায় না ।
কিন্তু আমার হার্টটি যদি ফেটে বাইরে চলে আসে? তখন!
এই না হার্ট আবার বাইরে আসবে কি করে?
যদি আমি তার পাশ থেকে যাওয়ার সময় মাথা ঘুরে তার উপর পড়ে যায় ?তখন!
ছি !ছি! কিসব চিন্তা ভাবনা….না তানি এবার তোকে মাথার ডাক্তার দেখাতেই হবে !এসব চিন্তা ভাবনা কোন সুস্থ মানুষের হতে পারে না ।
নিজের মনে চিন্তা করতে করতে লক্ষ্য করলাম একদম তার ক্লাসের সামনে এসে পৌঁছেছি।
নিঃশ্বাসটা টেনে বন্ধ করে নিলাম। এই ভেবে..যদি আমার নিঃশ্বাসের শব্দটাও সে শুনতে পেয়ে যায়..তখন!
মাথাটা নিচু করে এক মনে সামনের দিকে এগোতে লাগলাম ।
তার পাশ থেকে যাবার সময় তার পায়ের দিকে নজর গেল।
বুঝতে পারলাম ,সে আমার দিকে মুখ করে একভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে ।
কিন্তু তার মুখের দিকে তাকানোর সাহসটা কুলিয়ে উঠতে পারলাম না ।
কোন রকম এই ক্লাসটা পার করেই ,নিজের ক্লাসরুমের ভেতরে প্রবেশ করে জোরে নিঃশ্বাসটা ছাড়লাম।
আরে, আর একটা কথা তো বলাই হয়নি!আমার ক্লাসটা তার ক্লাস রুমের একেবারে পাশেই ।
নিঃশ্বাসটা ছেড়ে উপরে মাথা তুলতেই দেখতে পেলাম, আমার সব বন্ধুরা গালে হাত দিয়ে এক ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।
“কি হয়েছে ?”
রুমানা :আপনি ক্লাসে পদার্পণ করেছেন? আমি তো ভাবলাম আপনি রাস্তায় উল্টে পড়ে থাকবেন ।আমাদেরকে গিয়ে আপনাকে তুলে আনতে হবে।
“ফালতু বকা বন্ধ করবি? “
রোজি: ভুলটা কি বলল? তোর তো আবার তাকে দেখলেই বুক ধরফর করে !মাথা ঘোরায় !আবারও কত কি….
“হ্যাঁ, তুই আমার থেকে বেশি জানিস তো ?”
রুমানা :তবে নয়তো কি মুননননন …….
রুমানা কথাটা টেনে বলে উঠলো ।
মুন নামটা শোনার সাথে সাথে আমার গাল দুটো গরম হয়ে উঠল ।
হয়তো লালাভ আভাও দেখা দিয়েছে।
রোজি: কি ব্যাপার মুননননন…তুমি কি লজ্জা পাচ্ছো নাকি মুননননন…..
“বাজে বন্ধ কর! “
আমার কথা শুনে রুমানা ও রোজির সাথে ক্লাসের বাকি সবাইও জোরে হেসে উঠলো।
আমি ওদের দিকে আর গুরুত্ব না দিয়ে নিজের জায়গায় বসলাম ।
“মুন “এই নামটা প্রথম সেই পছন্দের মানুষটি ব্যবহার করেছিল আমার জন্য ।
তখন আমি ক্লাস সিক্সে পড়ি আর সে তখন ক্লাস নাইনে। আমাদের স্কুলে আঁকার প্রতিযোগিতা ছিল সেই দিন। আমরা একই ক্লাসরুমে বসে ছবি আঁকছিলাম ।
হঠাৎ তার ক্লাসের একটা দিদি বলে উঠলো ,”তানিয়ার মুখের দাগ গুলোর জন্য মুখটা কেমন যেন কালো হয়ে গেল বল ?”
তার কথা শুনে আর একটা দিদি বলল, “হ্যাঁ, ঠিকই বলেছিস না। হলে মুখটাকে কত সুন্দর লাগতো দেখতে। কিন্তু এখন তো সারা মুখে কালো কালো দাগ পড়ে গেছে। আচ্ছা তানি, তুই তোর আব্বুকে বলে তো কোন ওষুধ লাগাতে পারিস ?যাতে করে দাগ গুলো চলে যায়। “
“জি” আমি খুব হালকা স্বরে উত্তর দিলাম।
আসলে চার মাস আগে আমার একটা এক্সিডেন্ট হয়। তাতে প্রায় মুখের অনেকটা জায়গায় কাটা দাগ পড়ে যায় ।
দিদি দুটোর কথায় খারাপ লাগলেও কিছু বললাম না। কারণ এক্সিডেন্ট এর পর থেকেই এরকম কথা প্রায় আমি শুনে চলেছি।
তাই এখন সবটাই অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে ।
নিজের মনেই কথাগুলো ভাবছিলাম ঠিক তখনই একটি পুরুষ শালী কন্ঠের আওয়াজ শুনতে পেলাম।
“কারোর মুখে দাগ আছে বলে তাকে দেখতে ভালো লাগবে না !এটা কেমন কথা ?ভুলে যাস না চাঁদের গায়েও কিন্তু অসংখ্য দাগ রয়েছে । তারপরও সৌন্দর্যের তুলনা কিন্তু তার সাথে করে সবাই। দাগগুলো কখনোই চাঁদের সৌন্দর্য কমায় না ।
‘She is also beautiful just like the moon’.”
তার কথাটা শোনার পর ,জানিনা কেন বক্ষ পিঞ্জরে চিন্ চিন্ করতে আরম্ভ করল।
বয়স ছোট থাকায় সে অনুভূতির নাম আমার জানা হলো না।
শুধু এটা বুঝতে পারলাম এই মানুষটি আমাকে তার দিকে আকর্ষণ করছে। সেদিন থেকেই সে হয়ে উঠলো ‘আমার ক্রাশ’ ‘ আমার প্রথম ক্রাশ’…….
পুরনো কথাগুলো মনে করে নিজে নিজে হেসে উঠলাম।
না !চেহারা দাগ গুলো আর নেই।
সময়ের সাথে সাথে সেগুলোও চলে গিয়েছে । কিন্তু আকর্ষণটি থেকেই গিয়েছে।
ভাবনার মাঝে প্রার্থনার ঘন্টা পড়লো।
সবাই চলে গেল সেখানে।
সবাই মিলে প্রার্থনা শেষ করার পর সেই মানুষটির দিকে আরচোখে একবার তাকিয়ে দেখলাম।
সে এক মনোযোগের সামনের দিকে তাকিয়ে আছে।
সবশেষে সবাই একে একে ক্লাসে চলে গেলাম ।
ক্লাসে স্যার আসলেন ।
পরপর চারটি ক্লাস হওয়ার পর টিফিনের ঘন্টা বাজলো। খাওয়া দাওয়া করে ক্লাস থেকে বাইরে বেরোতেই তার দিকে চোখ গেল ।
ক্লাসের সামনের থামটাই ঠেল দিয়ে বসে ,হাতে খাতা এবং পেন্সিল নিয়ে কি যেন আঁকছে।
কিছুক্ষণের জন্য মনে হলো তার দিক থেকে চোখ সরাতে পারলাম না।
তার সবকিছু ভীষণভাবে আকর্ষণ করে আমায় তার দিকে।
তার মনোযোগ সবটা খাতায় এবং আমারটা তার দিকে।
হঠাৎই সে খাতা থেকে চোখ সরিয়ে আমার দিকে তাকালো ।
চোখে চোখ পড়ার সাথে সাথে এক ছুঁটে ক্লাসের ভেতরে ঢুকে পড়লাম।
এইরে আমাকে তো দেখে ফেলল !
কি ভাববে এবার? কেমন ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে ছিলাম আমি ।
ধুর আমার মাথার জীবনেও বুদ্ধি হবে না। ভালো লাগে না!!
তারপর আর ক্লাস থেকে বেরোলাম না সারাদিন।
ছুটির সময় উঁকি দিয়ে দেখলাম সে কোন দিক দিয়ে যাচ্ছে । যেই দিক দিয়ে গেল ,আমি সাইকেল নিয়ে তার ঠিক উল্টোদিকের রাস্তা ধরলাম।
একই রাস্তা দিয়ে তার সাথে যাবার মতো সাহস আর যারই হোক, আমার নেই ।
বাড়ি এসে টিউশন পড়তে গেলাম । এভাবে কেটে গেল দিনটা ।
রাতে তাকে নিয়ে স্বপ্নের দুনিয়া সাজাতে সাজাতে ঘুমিয়ে পড়লাম ।
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখ খুলে তাকাতে পারলাম না।
মাথাটাও কেমন যেন ভারভার লাগলো। অনেক কষ্টে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখলাম ,মা আমার মাথার কাছে বসে আছে ।
মাকে জিজ্ঞাসা করলাম…
“কি হয়েছে মা ?”
মা :কি আবার হবে ..ভোররাত থেকে তো কি জ্বর । তখন থেকে তো জলপট্টি দিচ্ছি।
এতক্ষণে বুঝলাম মাথাটা কেন ভারভার লাগছে।
মাকে আবার জিজ্ঞাসা করলাম…..
” কটা বাজছে মা ?”
মা বলে উঠলো …”এগারোটা।কেন? “
“আমার স্কুল ?” বলেই বিছানায় উঠে বসলাম।
মা :হ্যাঁ !এদিকে উঠে বসতে পারছে না, চোখ খুলে দেখাতে পারছে না ভালো করে আর ম্যাডামকে নাকি স্কুল যেতে হবে। চুপচাপ শুয়ে থাকবে । আমি আসছি খাবার নিয়ে ।
মায়ের বকা শুনে চুপ করে বিছানায় শুয়ে পড়লাম।
মন খারাপ লাগলো। ইসসস আজকে তার সাথে দেখা হবে না ।
মা খাবার নিয়ে এলো ।
খাওয়াটা খেয়ে আবার শুয়ে পড়লাম।
এভাবে সারাদিন আনচান করতে করতে কেটে গেল। বিকালের সময় জ্বরটা অনেকটাই কমে গেছে, তাও বিছানায় শুয়ে ছিলাম।
হঠাৎই একটি পরিচিত সাইকেলের বেলের আওয়াজ শুনতে পেলাম জানালার পাশে থেকে ।
শোনার সাথে সাথে তাড়াতাড়ি করে উঠে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখলাম ।
সেই অতি পরিচিত মানুষটি সাইকেল নিয়ে রাস্তায় কোনায় দাঁড়িয়ে আছে । আমাদের পাড়ার কয়েকটা ছেলের সঙ্গে কথা বলছে ।
তাকে দেখে মনের কোথাও যেন একটা খুশি খুশি হয়ে উঠলো ।
কিছুক্ষণ সে কথা বলে সাইকেলটা নিয়ে চলে গেল। যাবার সময় একবার মাথা তুলে আমার ঘরের দিকে দেখল।
তাকে এখনে দেখতে পেয়ে খুশি হয়ে আবার ঘুরিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লাম ।
টানা দুদিন পর পুরোপুরি ভাবে সুস্থ হয়ে উঠলাম ।
এই দুদিনই বিকেলবেলা তাকে আমাদের পাড়াতে দেখতে পেয়েছি আমি।
দুদিন পর খুব খুশি খুশি মনে স্কুল গেলাম ।
স্কুলে সেদিনটা সেই একইভাবে কাটল ।
তাকে দূর থেকে দেখা ,তার কথা ভাবা যেন ধীরে ধীরে আমার অভ্যাসে পরিণত হলো । যে অভ্যাস কাটিয়ে উঠতে পারলাম না ।
এভাবে দেখতে দেখতে দুটি বছর কেটে গেল।
আমি তখন ক্লাস নাইনে । আর সে ক্লাস 12 তে।
তাকে সাহস করে কিছু বলে উঠতে পারলাম না ।
তার স্কুল থেকে যাবার সময় এগিয়ে আসলো ।
মনের কোথাও একটা ব্যথা হচ্ছিল ।
আর তাকে স্কুলে এসে দেখা হবে না ।
শুনেছি নাকি উচ্চ মাধ্যমিকের পর সে শহরের বাইরে চলে যাবে পড়াশোনা করতে।
তারপর হয়তো তার আমার কথা মনেও থাকবে না।
আজকে তাদের ক্লাসের বিদায় অনুষ্ঠান।
আজকের পর সে আর স্কুলে পা দেবে না।
বাইরে যখন অনুষ্ঠান চলছিল আমি চুপ করে এসে নিজের ক্লাসে একাই বসে ছিলাম।
কিছুই ভালো লাগছিল না ।
তাকে সামনে থেকে নিজের কথা প্রকাশ করার সাহসটাও কুলিয়ে উঠতে পারছিলাম না ।
হয়তো সারা জীবনই এটা এক তরফাই থেকে যাবে।
নিজের ভাবনার মধ্যে ব্যস্ত ছিলাম যখন পিছন থেকে একটি আওয়াজ আসলো।
কেউ একজন ক্লাসে ঢুকেছে।
আমি ভাবলাম কোন বন্ধু হবে হয়তো, তাই একটি বিরক্তিকর আওয়াজ নিয়ে বলে উঠলাম ,
“তোরা এখন যা এখান থেকে আমার এখন কথা বলতে ভালো লাগছে না । “
অবাক করা বিষয় হলো সেই মানুষটি একটি ভারী পুরুষালী কন্ঠে উত্তর দিল,
” আমার সাথেও না ?”
আওয়াজটা শুনে চমকে পেছনে ঘুরে তাকালাম।
সেই অতি পরিচিত মানুষটি আমার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে ।
কেন জানি যে মানুষটির দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহসটা কোনদিন কুলিয়ে উঠতে পারতাম না ,সেই মানুষটার দিক থেকে আজকের চোখ সরাতে ইচ্ছা করলো না।
এই প্রথম তার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকলাম ।
সে আমার আচরণে হাসলো ।
সে বলল ,”আগামীকাল আমি অন্য শহরে চলে যাচ্ছি তিনটা বছর অপেক্ষা করতে ?”
“কি হলো, পারবে না ?”
আমি অতিরিক্ত কনফিডেন্টের সঙ্গে জবাব দিলাম
” পারব !”
এবার সে আমার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে বলল, “তাহলে আসি? “
আমি খুশি হয়ে বললাম ” জি”
সে চলে গেল সেখান থেকে ।
সে যাওয়ার পর আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম ,সে কি সত্যিই আসবে আবার আমার কাছে ?
নাকি ভুলে যাবে আমাকে ?
………………
“আর কতক্ষণ ধরে সেই পুরনো ডাইরি পড়বে তুমি মুন? রাত তো কম হলো না! ঘুমাবে কখন? “
হঠাৎ একটি পুরুষালী কন্ঠের আওয়াজে আমার ধ্যান ভাঙলো ।
হাতে প্রায় ২৪ বছরেরও বেশি পুরনো ডাইরি।
এতক্ষণ অতীতের ভাবনায় ডুবে ছিলাম । তার গলার আওয়াজে পিছনে ঘুরে তাকালাম ।
পেছনে ঘুরতে নজরে এলো সেই অতি পরিচিত মানুষটি।
বয়স এখন তার প্রায় ৪২ এর কোটায় ।
চুল এবং দাড়িতে হালকা হালকা পাক ধরেছে ।
কিন্তু আজও সেই চেহারা আমাকে সেই আগের মতই আকর্ষণ করে।
এক বিন্দু পর্যন্ত তার প্রতি আমার আকর্ষণ কমাতে পারেনি ।
সে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলল, “
ঘুমানোর সময় হয়ে গেছে তো । রাত বারোটা পার হয়ে গেল !ঘুমাবেন কখন? “
“এইতো চলুন “
বলে আমরা ঘুমাতে গেলাম ।
সে শোবার পর তার বক্ষদেশে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে নিলাম।
হ্যাঁ !সে তার কথা রেখেছিল ।
ফিরে এসেছিল তিন বছর পর আমার কাছে ।
তারও চার বছর পর বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল আমার বাড়িতে।
আজ তাকে নিয়ে আমার এক ভরা সংসার ।
সেই তিন বছরে অনেকেই আমাকে বলেছিল সে ভুলে যাবে ,কথা রাখবে না ।
কিন্তু আমার কোথাও একটা বিশ্বাস আটকে ছিলো, না! সে আসবে।
আজ সেই সব মানুষদের সামনে দিয়ে যখন যায় তাকে নিয়ে ,গর্বে আমার বুক ভরে ওঠে ।
আজ “আমার ক্রাশ” ” আমার প্রান প্রিয় স্বামী”।