পাখিদের কিচিরমিচিরে ঘুম ও ঘুমের উপর দিয়ে ভেসে আসা মেঘ মেঘের কটন ক্যান্ডি ও দিকে কি নীল আকাশ! ঘুমের মধ্যে তাস ফিরতে ফিরতে দেখতাম শীতের কুসুম ভেবে হালকা উষ্ণ আ৺চে বসন্তের রোদ্দুর ছড়িয়ে পড়েছে আমাদের ছোট্ট গ্রামে। কোকিলের কুহু কুহু ডাক তা মাঝরাত্রি হোক বা ভোর তার ডাকেই গ্রাম উজার। এই অসম্ভব জোড়ালো পাখিদের ডাকে ই ঘুম ভেঙে ওঠে। এই পাখির ডাকেই ঘুম ভেঙে উঠলো কিয়ানের। এলার্ম ক্লকের আর প্রয়োজন নেই। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গিয়ে কিয়ান বিরক্ত হয়ে বলে উঠলো,”ধুর বাবা কোথা থেকে যে যতসব পাখি আসে সকাল সকাল ঘুমটা ভাঙিয়ে দিল। ভালো লাগেনা।”
বারান্দা থেকে মায়ের গলা,”বাবু উঠেছিস ফ্রেশ হয়ে নে আমি ব্রেকফাস্ট রেডি করছি। ব্রেকফাস্ট করে তারপরে জিমে যাস।”
-” ঠিক আছে মা ।” বলল কিয়ান।
স্কুল শেষ করে কি আমি কলেজে ভর্তি হলো। একাউন্টান্সি অনার্স নিয়ে দারুণ রেজাল্ট করলো, ম্যানেজমেন্টের পরীক্ষা দিয়ে এমবিএ তে চান্স পেয়ে গেল । এখন এমবিএ করছে কিয়ান। তারই কিছুদিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছে কিয়ান। যদিও কলেজটা তোর বাড়ি থেকে বেশি দূরত্বের নয় তাদের গ্রাম থেকে পাশের শহরে। যদিও ওদের জায়গাটিকে ঠিক গ্রাম বলা যায় না ওই মফস্বল এলাকা।
ব্রেকফাস্ট করে জিমের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লো কিয়ান। ও যেখানেই থাক ও একদিনও জিম কামাই করবে না। কিয়ানের জিম করাটা একটা প্যাশন বলতে পারেন।
কিয়ান জিমে পৌঁছালো। তার জিম পার্টনার রেহান।
-” কিরে রেহান আজ যে আমার আগে পৌঁছে গেছিস।” রেহানকে দেখে কিয়ান বলল।
-“হ্যাঁ একটু আগেই এলাম , তোর ব্যাপারটা কি ?“বলল রেহান।
-“কোন ব্যাপারটা?” বলল কিয়ান।
-“ফেসবুকে , ইনস্টায় রোজ রোজ স্টোরি দিচ্ছিস রোমান্টিক সং, আমাদের সেই স্কুলের একসাথে গ্রুপ ফটোগুলো দিচ্ছিস নানা রকমের গান দিয়ে ভিডিও বানিয়ে কি ব্যাপার ” বলল রেহান।
আসলে রেহান আর কিয়ান দুজনেই একই স্কুলে পড়তো ওরা স্কুল ফ্রেন্ড তবে এখন দুজনে বেস্ট ফ্রেন্ড।
-“আরে ধুর , ওসব তো এমনি। একটু ভিডিও বানাতে শখ যাচ্ছিল, তাই আর কি ..”হেসে বলল কিয়ান।
-“তাই কি আমার তো অন্য কিছু মনে হচ্ছে, ” বলল রেহান।
-“তোর কি মনে হচ্ছে?” জিজ্ঞাসা করল কিয়ান।
ওকে তো আমি কবেই ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়ে রেখেছিলাম । ও অ্যাকসেপ্ট করলে কয়েক মাস হল।” বললো কিয়ান।
এই ইধিকা হল কিয়ানের চাইল্ডহুড ক্রাস। কিয়ান রেহান ও ইধিকা এরা সবাই স্কুল ফ্রেন্ড।ইধিকা স্কুল কমপ্লিট করে, বিএসসি নার্সিং করছে এখন তার internship চলছে।
-কিয়ানের কথা শুনে রেহান এক্সাইটেড হয়ে এক লাফ দিয়ে বলে বসলো,” ভাই এবার মনে হয় তোর দিন আসছে । ৩৯ নম্বর প্রপোজালটা এবার তুই সেরে ফেল আর দেরি করিস না। আমার যা মনে হয় এবার ও একসেপ্ট করবেই তোকে।”
-“পাগল আছিস নাকি? সবাই এখন ম্যাচিওর আর স্কুল ফ্রেন্ড ছিলাম তাই একসেপ্ট করে লাভ রিএক্ট দিচ্ছে। তার সাথে প্রপোজাল অ্যাকসেপ্ট করার কি প্রশ্ন!! আর দেখ এখন হয়তো ওর বয়ফ্রেন্ডও হয়ে গেছে তাই এসব বাদ দে।”
-“আরে না রে, দাঁড়া দাঁড়া ওসব বাদ দে ব্যবস্থাটা দেখছি আমাকেই করতে হবে। যাই হোক একটা কথা মনে পড়েছে । কয়েকদিন আগে ঈধিকা বসন্ত উৎসবের শান্তিনিকেতন যাওয়ার কথা বলছিল, তখন তো আমি কোন কিছু না ভেবেই না বলে দিয়েছিলাম। এইবার মাথায় একটা বুদ্ধি এসেছে বলে উঠলো রেহান।
-“আবার সেই পাগলামো বাদ দে না এসব..” বিরক্তি সুরে বলে উঠলো কিয়ান।
3 Responses
❤️❤️❤️❤️🔥🌿
Darun
Thank you