প্লেন ল্যাণ্ড করেছে। যাত্রীরা সবাই নেমে গেছে। পাইলট হোটেলে পৌঁছেছেন।
উড়োজাহাজ পরিচ্ছন্ন কর্মী এসেছেন- পুরো প্লেন পরিষ্কার করতে।
পরিষ্কার করতে করতে তিনি পাইলটের ককপিটে আসেন। দেখেন-সেখানে একটা বই। বইয়ের উপরে লিখাঃ “কিভাবে পাইলট হতে হয় ” (ভলিউম 1)
উৎফুল্ল পরিচ্ছন্ন কর্মী – বইয়ের প্রথম পাতা উল্টান। সেখানে লিখা – লাল বোতামে টিপুন- প্লেনের ইণ্জিন চালু হবে।
তিনি তাই করলেন- লাল বোতামে চাপ দেয়ার সাথে সাথে ইন্জিন চালু হয়ে গেলো।
পরের পাতায় লিখা- উড়োজাহাজকে সামনে অগ্রসর করাতে চাইলে এবার এই নীল বোতাম টিপুন।
তিনি আর অপেক্ষা না করে তাই করলেন। সাথে সাথে উড়োজাহাজ সামনে এগোতে লাগলো।
তারপরের পাতায় লিখাঃ গ্রাউণ্ড থেকে শূণ্যে উড়াতে চাইলে এবার সবুজ বোতাম টিপুন।
পরিচ্ছন্ন কর্মী অবাক- প্লেন শূণ্যে উড়া শুরু করেছে। উপরে ওঠছে তো ওঠছে।
তাঁর আনন্দের সীমা নেই। এতো সহজেই প্লেন আকাশে উড়ানো যায়। প্রায় বিশ মিনিট তিনি আকাশ উড়লেন। এবার নামার পালা।
বইয়ের পরের পাতা উল্টালেন। সেখানে লিখাঃ প্লেন কিভাবে নীচে ল্যাণ্ড করাতে হয় সেটা শিখতে চাইলে ভলিউম ২ বইটি কিনুন এবং আমাদের ফ্লাইট লার্ণিং কোর্সে ভর্তি হয়ে যান।
মোরাল হলোঃ অল্প বিদ্যায় পারদর্শিতা আপনাকে হয়তো সাময়িক সময়ের জন্য আকাশে উড়াতে পারে, কিন্তু নিশ্চিত একসময় আপনার ঠিকই পতন হবে। আর যেটা শুধু ভয়ংকর হবেনা, মৃত্যুরও কারণ হতে পারে।
One Response
Woww…lekhata khub sundor laglo