সকালে ঘুম থেকে উঠে নুর টেস্টের ভেতর থেকে বাইরে বেরোলো।
নুরের best friend দিশা বাইরে নুরের জন্যই অপেক্ষা করছিল ।
নুর আসার পরেই দিশা নুর কে ধরল, এবং কালকে রাতে কথা জিজ্ঞাসা করল।
দিশা: রুমান কালকে তোর ট্রেনটা কেন গিয়েছিল?
নূর দিশাকে সবটা খুলে বলল।
সবটা শুনে দিশা একটি দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো ।
নূর: ঠিক এই জন্যই আমি ভালবাসায় বিশ্বাসী না ।
ছাড় এসব, এখন আমি একটু জঙ্গলটা ঘুরে দেখতে যাচ্ছি।
দিশা: তুই একা যাবি? আমিও তোর সাথে যাচ্ছি।
নূর :না ঠিক আছে আমি একা যেতে পারবো।
দিশা :কিন্তু তোর একা যাওয়াটা কি ঠিক হবে ?
নূর :না আমি একটু একা থাকতে চাইছি চিন্তা করিস না আমি তাড়াতাড়ি চলে আসব ।
বলেই নুর জঙ্গলের দিকে চলে গেল।
পেছন থেকে দিশা নূরের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলল, “তাড়াতাড়ি তো এই ভাবনা পাল্টাবে, কেউ তো আসতে চলেছে। আর সে খুব কাছে এসে গেছে, তোর খুব কাছে!”
নুর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে হেঁটে চলেছে । শুনসান জনমানবহীন রাস্তা চারিপাশে সবুজ গাছপালা সকালের সময় হাঁটতে যেন অসাধারণ লাগছে। কিন্তু নুরের কেন যেন মনে হচ্ছে কেউ তাকে দেখে চলেছে।
কেউ একজন যেন ওর সাথে আছে ওকে সব সময় দেখে চলেছে।
কিন্তু কি সেটা?
নুর এদিক সেদিক দেখতে লাগলো কিন্তু কাউকে দেখতে পেল না।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে যেই না সামনের দিকে হাঁটতে শুরু করবে, তখনই কেউ যেন ওকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। নুর কিছুটা দূরে গিয়ে পড়ল ।
নুর সেই দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগে, তার চোখে পড়ল একটি অর্ধনগ্ন যুবক ।
নগ্ন পিঠে এবং বাহুতে ট্যাটু করা ……….
না ট্যাটু না…….কিসের যেন চিহ্ন আঁকা বলে মনে হল!যুবকটির চোখ দুটো রক্তবর্ণ ধারণ করে রয়েছে ,চোখের মনির রং ধূসর রঙের ,ঠোঁট দুটি টকটকে লাল ।
নূর যেন মুগ্ধতা নিয়ে যুবকদের দিকে চেয়ে রইল। ছেলেদের ঠোঁট ও এত লাল হয় বুঝি ??
হঠাতই নূরের চোখে পড়ল যুবকটির পায়ের দিকে।
একটি কাঁটাযুক্ত পশু ধরার জাল যুবকটির পায়ের সঙ্গে আটকে আছে ।
নুর সেটাতেই পা দিত যদি না যুবকটি তাকে ধাক্কা দিত। নুর যুবকটিকে সাহায্য করতে যাবে তার আগেই, জালটি হঠাৎ করে খুলে যাওয়ায় যুবকটি এসে পড়ল নূরের ওপর ।
হঠাৎ করেই তাদের অধর গুলি এক হয়ে গেল ।
অধরের স্পর্শ পাওয়ার পরই নূরের চোখের সামনে যেন অদ্ভুত কিছু ছবি ভেসে আসতে লাগলো।
হঠাৎ করে নূরের প্রচন্ড মাথা ব্যথা শুরু হলো।
নুর সহসা চোখ দুটি বন্ধ করে নিল।
কিছুক্ষণ পরেই নূর যখন চোখ খুলল সে আশেপাশে কাউকে দেখতে পেল না।
সে এদিক সেদিক তাকিয়ে যুবকটিকে খুঁজতে লাগলো, কিন্তু পেল না।
নূর :(আচ্ছা এগুলো কি সত্যি ছিল নাকি ভ্রম ?যদি সত্যিই হয় তাহলে এতোটুকু সময়ের মধ্যে যুবকটি উধাও কি করে হলো?আর যদি ভ্রমই হয় তাহলে তার স্পর্শটা এতটা আসল কি করে মনে হল? এই অনুভূতিটাই বা কি ছিল !!!)ভেবে নুর নিজের অধরটা স্পর্শ করল ।
নুর আবারও এদিক সেদিক তাকিয়ে তাকে খুঁজতে লাগলো ।
হঠাৎই সে একটি ছুরি দেখতে পেল। বেশ পুরনো তাতে কিছু কারুকার্য করা আছে । নুর সেটিকে হাতে নিয়ে ট্যেন্টের দিকে হাঁটা দিল ।
পেছনে ফেলে গেল সেই রক্তবর্ণ চোখ এবং চোখের মালিক টিকে । কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে সেই চোখের অধিকারী মানুষটির অধর জুড়ে শুষ্ক হাসি রেখা দেখা গেল।।।।।।।।।।।।।
3 Responses
Bah Darun
Thank you❤
Thank you