সবাই : Happy birthday noor 🥰🥰🥰🥰
নুর: হুম্ thanks…
আমার এখন ঘুম ধরছে আমি টেন্টের ভেতরে গেলাম।
রুমান : এটা কি নুর! আমরা তোমার জন্মদিনের জন্য এতো আয়োজন করলাম আর তুমি এই ভাবে চলে যাচ্ছো।।।।
নুর: দেখো রুমান আমি জন্মদিন পালন করতে এমনিতেই পছন্দ করি না আর এখন আমার ঘুম আসছে সো বাই।
দিশা :আচ্ছা তুই টেন্টের ভিতর গিয়ে রেস্ট নে।
নূর চলে গেল নিজের টেন্টের ভেতর ।
রুমান :আমিও নূরের কাছে যাচ্ছি আমার নূরের সাথে কিছু কথা আছে।
বলে রুমানও নূরের টেন্টের দিকে যাওয়া ধরল।
এদিকে নূর নিজের টেন্টের ভিতর বসে চোখের জল ফেলছে । ‘সবাই আমাকে জন্মদিনে উইশ করলো কিন্তু যার সবার আগে করার কথা ছিল সে করলো না । কেন আব্বু? তুমি তো একটা সময় বলতে তোমার জীবনে তোমার princess এর জায়গা সবার উপরে আর আজকে সেই তুমি আমার জন্মদিন টুকু মনে রাখার প্রয়োজন মনে রাখো না।
নূর :এ কি রুমান তুমি আমার টেন্টের ভেতর কি করছো? রুমান এসে নূরের হাতটা শক্ত করে ধরল ।
নুর: এসব কি রুমান ।
রুমান: আই লাভ ইউ নুর আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।
নূর :এসব কি বলছ তুমি? তোমার মাথা ঠিক আছে? তুমি তো জানো যে আমি………….
নুরকে কথাটা শেষ করতে না দিয়েই রোমান নুরের আরো একটু কাছে গিয়ে বলতে শুরু করলো ।
রুমান :বিশ্বাস করো নুর আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি । সেই প্রথম থেকেই আমি তোমার প্রতি আসক্ত ।
বলেই নূরের আরো একটু কাছে আসার চেষ্টা করল।
নুর ব্যাপারটা বুঝতে পেরেই তাড়াতাড়ি রুমানকে একটা ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল।
এটা দেখে রুমান কিছু বলতে যাবে তার আগেই নূর রুমানের গালে একটা চড় বসিয়ে দিল। এবং তেজী গলায় বলল এক্ষুনি আমার টেন্ট থেকে বেরিয়ে যাও। রুমান গালে হাত দিয়ে রাগি চোখে নূরের দিকে তাকিয়ে থেকে বেরিয়ে গেল। এবং যাওয়ার আগে বলে গেল ‘কাজটা কিন্তু তুমি ঠিক করলে না নুর ‘।
এদিকে নুর আবারও বিছানায় বসে চোখের জল ফেলতে লাগলো । এবং বলতে লাগলো ভালোবাসা এই ভালোবাসা জিনিসটাকে মানুষ আজকাল নিজের চাহিদা হিসেবে ব্যবহার । করে যতক্ষণ চাহিদা থাকবে ততক্ষণ ভালোবাসা ও থাকবে। তারপর চাহিদা শেষ ভালোবাসা ও শেষ । সেজন্য আমি ভালবাসার জিনিসটাকে সবথেকে বেশি ঘৃণা করি।
বলেই নূর আবারও কাঁদতে লাগলো ।
অথচ নূর জানতেও পারলো না এখানে সে এবং রুমান ছাড়া আরও তৃতীয় কোন জিনিসের অস্তিত্ব রয়েছে । যে রক্তবর্ণ চোখ নিয়ে তাকে দেখে চলেছে ।
এটা সবার অজানাই থেকে গেল।।।।।।।।।।।।
3 Responses
Bah ki sundor lekha
Part 2 Kobe aasbe
Thank you
Thank you